প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ফুল টাইম অফিস করেও অনেকেই পুরো উদ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আমেরিকার এক জরিপে বলা হয় যে, আধুনিক তরুণ চাকরিজীবীদের ৬৬ শতাংশ মনে ব্যবসায়ী হওয়ার গোপন ইচ্ছা পুষে রাখে। যদি আপনিও চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতে ১০টি বিষয় বিবেচনা করার আহবান জানাচ্ছি আপনাকে।
১. কতটা জরুরি? : প্রথমেই ভাবতে হবে ব্যবসা আপনার জন্য কতটা জরুরি? কারণ চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা বেশ কঠিন কাজ। এ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা এগিয়ে যাওয়ার সাহস করতে আপনি কতটুকু প্রস্তুত।
২. দক্ষতা, সামর্থ্য ও দুর্বলতা বের করুন : ভেবে দেখুন, আপনার কোন দক্ষতাটি নতুন একটি ব্যবসা স্থাপনে যথেষ্ট হতে পারে। যদি না থাকে তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সত্যিই বিপজ্জনক হবে। আপনার সামর্থ্য ও দুর্বলতা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।
৩. আইডিয়ার মূল্যায়ন করুন : নতুন কোনো আইডিয়া থাকলে তা কতটা সম্ভাবনাময় বুঝতে হবে। ফরচুন ম্যাগাজিনের এক জরিপে বলা হয়, বাজারে চাহিদা নেই এমন পণ্যের কারণে অধিকাংশ নতুন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই বাজারে আপনার পণ্যের চাহিদা কতটুকু তা বুঝে ওঠা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৪. প্রতিযোগিতায় সুবিধা : বাজারে আপনার প্রতিযোগী থাকবেই। আপনার কোন বৈশিষ্ট্য ক্রেতার আগ্রহ কাড়বে তা চিহ্নিত করুন।
৫. লক্ষ্য হবে বাস্তবিক, নির্ণয়যোগ্য ও বিস্তারিত : এমন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেবেন না যা কল্পনায়ই ভালো দেখায়। বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। একে যেন হিসাব কষে বের করা যায়। সফল হতে প্রতিটি পদক্ষেপের বিস্তারিত লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।
৬. পরিকল্পনার মানচিত্র প্রণয়ন : প্রথম পদক্ষেপ কবে থেকে শুরু হবে তা সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু শুরুর পর থেকে লক্ষ্যের প্রতিটি স্তরে কিভাবে পৌঁছবেন, তার জন্য কী কী বাধা টপকাতে হবে এবং এগুলো পেরোনোর প্রস্তুতি রয়েছে কি না তা বিবেচনা করুন।
৭. বাইরের উৎস কাজে লাগান : আপনার বন্ধু বা পরিচিত মহল এ কাজে সহায়তা করতে পারে।
৮. ফিডব্যাক পেতে ক্রিয়াশীল থাকুন : আপনার এমন পণ্য বা সেবা নিয়ে এগোতে হবে যা মানুষের প্রয়োজন। এ বিষয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকেও নানা ফিডব্যাক পেতে পারেন। সত্যিকার উপকারী মতামত পেতে এমন একদল মানুষকে বেছে নিন, যারা সত্যিকার অর্থে বাজারের অবস্থা জানে।
৯. ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও কার্যপ্রণালি ভিন্ন করবেন না : হয়তো ব্যবসা নিয়ে কিছুদূর এগোনোর পর আপনি একা তা সামলাতে পারবেন না। এর জন্য হয়তো দু-একজন বেতনভুক্ত কর্মী প্রয়োজন হবে। এদের যে কাজ বুঝিয়ে দেবেন তার সঙ্গে আপনার লক্ষ্যের মাঝে ঝাপসা দেয়াল তুলে দেবেন না, হিতে বিপরীত হবে।
১০. সর্বোচ্চ ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করুন : পূর্ণ দিবস চাকরির পর আপনি ব্যবসার কাজে সময় দিতে পারছেন। এই প্রক্রিয়ায় কিভাবে এগোনো যায় এবং কোন উপায়ে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন তা খুঁজে বের করতে হবে। আর ব্যবসার সর্বোচ্চ ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা না করে অথবা সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে না গিয়ে চাকরি ছাড়ার কথা কখনোই ভাববেন না।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ